অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করতে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের বিনা মূল্যে কোরীয় ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ফরেন এমপ্লয়মেন্ট কাউন্সিল (বিফেক)। শুধু কোরীয় নয়, বিফেকের ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় অন্যান্য দেশে গমনকারী প্রবাসী শ্রমিকদের স্থানীয় ভাষার দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার ( ১২এপ্রিল ) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-এশীয় দেশসহ অন্যান্য দেশে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তবে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দক্ষতার অভাবে তাঁদের গড় আয় ভারত, চীন ও ফিলিপাইনের প্রবাসী শ্রমিকদের তুলনায় অনেক কম। শ্রমিকপিছু প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) প্রবাহ বিবেচনায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের উপার্জন বিশ্বের অন্যান্য যেকোনো দেশের শ্রমিকদের চেয়ে কম, যার অন্যতম কারণ সঠিক দক্ষতার অভাব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শ্রমিকদের প্রেরণা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ভাষা শেখানো হবে। প্রাথমিকভাবে ২০ প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে এই কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। ভাষায় দক্ষতা থাকলে কোরিয়া সরকারের এমপ্লয়মেন্ট পারমিট স্কিম (ইপিএস) কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কাজের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে, প্রশিক্ষিত কর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানো হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণার্থীদের বাছাই করার কাজটি বিফেক করেছে। প্রেরণা ফাউন্ডেশন শুধু প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
সম্প্রতি কোরীয় ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু উপলক্ষে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রেরণা ফাউন্ডেশনের পর্ষদ সদস্য শেখ শাবাব আহমেদ। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমদ চৌধুরী বলেন, ভাষার জ্ঞানকে যথাযথ মাত্রায় উন্নীত করতে পারলে প্রবাসী শ্রমিকদের আয় বাড়বে।
প্রেরণা ফাউন্ডেশনের অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য শেহ্জাদ মুনীম বলেন, ‘আমরা একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাচ্ছি, যার মাধ্যমে আমরা সবাই একত্রে কাজ করতে পারি, এবং রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারি।’
বিফেকের সভাপতি এম নাঈম হোসেন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ—ভাষা শিক্ষা, হসপিটালিটি সার্ভিস, টেকনিক্যাল স্কিল ইত্যাদি পরিচালনা করার, যার মাধ্যমে এই শ্রমিকদের দক্ষতার বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।’
Discussion about this post