নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস আরও একটু নিয়ন্ত্রণে এলে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা করোনার টিকা নিচ্ছেন তাদেরও তিনি মাস্ক পরে চলতে বলেছেন। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এ আহবান জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ অধিবেশনটি প্রত্যক্ষ করতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংসদ ভবনে আসেন এবং অধিবেশন প্রত্যক্ষ করেন বলেও স্পিকার জানান।
সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। আরও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারবে।
করোনা ভ্যাকসিনের যখন গবেষণা শুরু হয় তখনই আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলাম কারা কারা গবেষণা করছে আগে থেকে ঠিক করে রাখা ভ্যাকসিন বাজারে এলেই আমরা ক্রয় করবো। এর জন্য আমরা এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে রাখি। যখনই বাজারে আসে তখনই ক্রয় করি। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকে কথা বলেছিলেন। আসলে ভ্যাকসিন এসে নিজেই তার উত্তর দিয়েছে।
তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা ক্রয় করেছি। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর খারাপ কোনো রিঅ্যাকশনের কথা শোনা যায়নি। তারপরও আমরা মনিটর করছি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। এ নিয়ে দেশে প্রশংসা শুনিনি। কিন্তু জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রথম কারা করোনা ভ্যাকসিন পাবেন সেটাও আমরা ঠিক করে ফেলেছি। করোনার ভ্যাকসিন যারা নিচ্ছেন তাদের এখনও মাস্ক পরে থাকতে হবে, সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ব থেকে করোনাভাইরাস না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের অধিবেশন সমাপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, করোনা মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সফলভাবে এই অধিবেশন পরিচালনা করা হয়েছে। আমি একটা বড় কারাগারে বন্দি আছি। সংসদ চলার সময় আমি অধিবেশনে আসি, ভালো লাগে। সংসদে এসে সবার সঙ্গে দেখা হয়।
Discussion about this post