শিক্ষার আলো ডেস্ক
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে এবং নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া অবৈতনিক করতে একসঙ্গে কাজ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। রবিবার (৫ মে) শিক্ষানীতি-২০১০ এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই দুই মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সম্মত হয়।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া অবৈতনিক করেছে আগেই। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। আর ৬৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু আছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্থ খরচ করে ষষ্ট, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করান অভিভাবকরা।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে, মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকারের ধাপ প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে।
বর্তমানে প্রাথমিক থেকে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা আর্থ-সামাজিক ও প্রক্রিয়াগত কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। এই ঝরে পড়া রোধ করতে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক বা নামমাত্র ব্যয়ে করার ব্যবস্থা করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সম্মত হয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনঃতীব্র তাপদাহে প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিলো মন্ত্রণালয়
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।
দেশ স্বাধীনের পরপরই প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঘোষণায় ১৯৭৩ সালে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। প্রথম দফায় জাতীয়করণ করেন ৩৭ হাজার ৬৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এরপর তিন দফায় নতুন করে জাতীয়করণ করা হয়েছে ২৬ হাজার ১৫৯টি বিদ্যালয়। নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে ১ হাজার ২০৭টি। দেশে বর্তমানে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এরমধ্যে ৬৯৬টি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
Discussion about this post