শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১টি বইয়ে ১৪৭টি ভুল ধরা পড়েছে। এসব ভুল চিহ্নিত করার পর তা সংশোধনের সুপারিশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।
এনসিটিবি গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সম্প্রতি এসব ভুল সংশোধনের সুপারিশ করার পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে সংশোধনী পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ মে) মাউশি থেকে পাঠানো এই নির্দেশনা দেশের সকল বিদ্যালয় প্রধানের নিকট পাঠানো জন্য এক স্মারকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঢাবিতে বিষয় বরাদ্দ ও ভর্তিতে নতুন দুটি নির্দেশনা
কমিটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নবম শ্রেণির ১১ বইয়ে ভুল রয়েছে ৭৭টি, অষ্টম শ্রেণির ১০টি বইয়ে ৪৯টি, সপ্তম শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১১টি, ষষ্ঠ শ্রেণির ৫টি বইয়ে ১০টি ভুল রয়েছে। এর মধ্যে বানান ভুলের পরিমাণই বেশি। এ ছাড়া কোনো কোনো বাক্য পুরোপুরি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।
পাঠ্যবইয়ে যত ভুল ও সংশোধনী দেখুন এখানে
গত বছরের মতো এবারও ক্লাস শুরুর পর পাঠ্যবইয়ে থাকা নানা ভুল ও অসংগতি নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়। একপর্যায়ে নতুন বইয়ের ভুলত্রুটি ই-মেইলে জানানোর অনুরোধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনসিটিবি। এর আগে গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির চার বইয়ে ১৮৮ ভুল, ৫৮টি অসংগতি চিহ্নিত করে। পরে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সব বইয়ের ভুল-অসংগতিগুলোর সংশোধনী দেয় এনসিটিবি।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, পাঠ্যবইয়ের ভুলত্রুটি সংশোধনের লক্ষ্যে প্রতিটি বইয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা ভুলগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবির উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দেন। সম্প্রতি এই কমিটি ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৩১ বইয়ের ভুল ও সংশোধনীগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে পাঠায়। সেখান থেকে ভুলগুলোর সংশোধনীর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
Discussion about this post