শিক্ষার আলো ডেস্ক
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরির লক্ষ্যে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত ওই কমিটি আজ রোববার প্রথম সভায় বসবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি উঠে আসে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। বৈঠকের কার্যবিবরণী পাস হয় গত ৬ মে। এরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।
আরও পড়ুনঃ সকল মাধ্যমিক স্কুলের ভর্তি ফি সরকারি কোষাগারে জমার নির্দেশ
বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো।
শিক্ষকদের পেনশনের আওতায় আনার দাবি দীর্ঘদিনের। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান না। পুরো চাকরি জীবনে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে বেতন থেকে ১০ শতাংশ (আগে ৬ শতাংশ ছিল) জমা রাখেন। এর মধ্যে অবসর বোর্ড কাটে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ ট্রাস্ট কাটে ৪ শতাংশ। সেই আসল টাকা ও লাভের অংশের সঙ্গে সরকার কিছু টাকা প্রদান করে। অবসরে পর সেই টাকা পান শিক্ষক-কর্মচারীরা। কিন্তু টাকা উত্তোলনে শিক্ষকদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু শিক্ষকদের সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনলে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট্র বোর্ড বাতিল হয়ে যাবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় এনে আর্থিক ও অবসরসুবিধাসংক্রান্ত জটিলতার নিরসন করতে চায় সরকার।
Discussion about this post