দেশে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলক প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। শনিবার ঢাকা মেডিক্যালে করোনা থেকে সেরে উঠা চারজনের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে।
প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের ব্যাপারে এরইমধ্যে নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠা ব্যক্তির শরীরে ওই ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। যাকে বলা হয় এন্টিবডি। অনেক ভাইরাসের ক্ষেত্রে নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির রক্ত থেকে নেওয়া প্লাজমা সহায়তা করে থাকে। এ পদ্ধতিকে বলা হয় প্লাজমা থেরাপি।
কোভিড উনিশে আক্রান্ত মূমুর্ষ ব্যক্তিদের চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করে চীন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশে সুফল মিলেছে।
বাংলাদেশে এ চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কি-না দেখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কারিগরি উপকমিটি গঠন করে। ওই কমিটি পরীক্ষামূলভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগের একটি প্রটোকল জমা দেয় বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে। তারা প্রস্তাবটির নৈতিক দিক খতিয়ে দেখে এর অনুমোদন দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত প্লাজমা থেরাপিতে জীবন বাঁচবে অসংখ্য মানুষের। একজন ব্যক্তির প্লাজমা দিয়ে কমপক্ষে দু’জনকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
Discussion about this post