শিক্ষার আলো ডেস্ক
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) পৃথিবীর শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় টানা তৃতীয়বার স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। র্যাঙ্কিংয়ে ১২০১ থেকে ১৪০০ এর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান।
‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস ২০২৫: টপ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিস’ শীর্ষক এই তালিকা মঙ্গলবার (০৪ জুন) রাতে বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাঙ্কিং মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কিউএস তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে ১৪০০+ এ ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ের পাশাপাশি এ বছর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং (৬০১-৬৫০ এর মধ্যে) এবং সাউদার্ন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়েও (১৮৯) মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
কিউএস র্যাঙ্কিংয়ের সূচকগুলো হলো একাডেমিক রেপুটেশন, সাইটেশনস পার ফ্যাকাল্টি, অ্যাম্প্লয়মেন্ট আউটকামস, অ্যাম্প্লয়ার রেপুটেশন, ফ্যাকাল্টি-স্টুডেন্ট রেশিও, ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক এরং সাসটেইনেবিলিটি। এতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন যথাক্রমে ৬.৯%, ৫.৩%, ৩.৮%, ৫%, ১০.৫%, ১৭.৮% এবং ১%।
আরও পড়ুনঃ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে কমিটি গঠন!
বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি গবেষণার জন্য যথোপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তার কর্মমেয়াদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল- আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান সৃষ্টি করা। ইতোমধ্যে কিউএস র্যাঙ্কিং, টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিং এবং টাইমস হায়ার এডুকেশনের ইয়াং ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উঠে এসেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য বলেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বদলে যাওয়ার পেছনে অবদান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী কর্মকাণ্ড এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণে এসব কিছু সম্ভব হয়েছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আগামীতে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কিউএসের প্রকাশিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য র্যাঙ্কিংগুলোর একটি মনে করা হয়। এই র্যাঙ্কিংয়ে এখন আটটি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান নিরূপণ করা হয়। প্রতিটি সূচকে ১০০ করে স্কোর থাকে। সব সূচকের যোগফলের গড়ের ভিত্তিতে সামগ্রিক স্কোর নির্ধারিত হয়।
Discussion about this post