শিক্ষার আলো ডেস্ক
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট বিরুপ পরিস্থিতিতে ছয় ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক চারজন উপাচার্যকে সংগে নিয়েেআলোচনায় বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় কোটা আন্দোলন ঘিরে নিহতদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনার পাশাপাশি সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা, ঘটনাগুলোর দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্ত, দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া, গ্রেপ্তার ও আটক সব শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংহতি পুনঃস্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বৈধ শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন প্রভৃতি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী, আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, এস এম এ ফায়েজ ও মো. আখতারুজ্জামান অংশ নেন। আরও ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, খন্দকার বজলুল হক, রফিকুন নবী, নজরুল ইসলাম, হাশেম খান ও আতিউর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে সভায় ছিলেন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল, দুই সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদ ও সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর মাকসুদুর রহমান ও রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।
আরও পড়ুনঃ সারাদেশে আটক ১৭ শিক্ষার্থীকে মুক্ত করেছে ঢাবি প্রশাসন
কোটা আন্দোলন ঘিরে ক্যাম্পাসে যা যা ঘটেছে, তা সভায় ব্যাখ্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য।ক্যাম্পাসে বিভিন্ন মতের শিক্ষার্থীদের সহাবস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি সভায় আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান সাবেক দুই উপাচার্য। তাঁরা বলেন, সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্মানের জায়গাটা ক্ষুণ্ন হয়ে থাকলে দ্রুততার সঙ্গে তা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সব মিলিয়ে একটা গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে জানান, সভায় সাম্প্রতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু বৈধ শিক্ষার্থীদের হলে থাকার ব্যবস্থা করার যে সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নিয়েছি, তা কার্যকর কীভাবে করা যায়, সেসব বিষয়ে সবার মতামত নিয়েছি। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে কনসলিডেশন (সংহতি) কীভাবে রক্ষা করা যায়, তাও আলোচনায় এসেছে।’
Discussion about this post