শিক্ষার আলো ডেস্ক
প্রায় এক সপ্তাহ আটক রাখার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে।
তবে মুক্তি পাওয়া ছয় সমন্বয়ক (মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার) আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) গণমাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতি পাঠিয়েছেন। যেখানে সপ্তাহজুড়ে আলোচিত আন্দোলন প্রত্যাহার করার ভিডিওবার্তা ও ডিবির তখনকার অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদের সঙ্গে টেবিলে বসে একত্রে খাবার খাওয়ার বিষয়টি ‘জোরপূর্বক’ বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত ছয় সমন্বয়ককের ভিডিও স্টেটমেন্টটি আমরা স্বেচ্ছায় দেইনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সিদ্ধান্ত ডিবি অফিস থেকে আসতে পারে না। সারাদেশের সকল সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হবে না।
ডিবি অফিসে আমাদের খাবার টেবিলে বসিয়ে জোর করে ভিডিও করা হয় জানিয়ে বিবৃতিতে তারা জানান, আমাদের ছেড়ে দেবার আশ্বাস দিয়ে পরিবারকে ডেকে ১৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় এবং মিডিয়ায় মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেয়ানো হয়। আমাদের শিক্ষকরা দেখা করতে আসলে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশেই অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল জানিয়ে তারা বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ছাত্র-নাগরিকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সরকার এখনও শিক্ষার্থীদের উপর দমননীতি অব্যাহত রেখেছে এবং সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করছে।
যৌথ বিবৃতির শেষ পর্যায়ে তারা বলেন, ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটককৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকদের প্রতি আহ্বান থাকবে সরকারের মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ও দমন-পীড়নকে তোয়াক্কা না করে রাজপথে নেমে আসুন।
Discussion about this post