শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) নিয়ে আসা হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বর্তমানে ওসেকে হাসনাতের চিকিৎসা চলছে। সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরি বিভাগের ওসেকে তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা আশ্বাস্ত করেছেন, তার বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্ররা সচিবালয়ের সামনে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের শুরুতে উভয়পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে হাসনাত আবদুল্লাহসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।প্রথমদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাত পৌনে ৯টা থেকে আহতরা হাসপাতালে আসা শুরু করে। এ পর্যন্ত ৪০ জনের শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে আসে। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই মাথায় আঘাত রয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
প্রসঙ্গত, চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন আনসার সদস্যরা। আনসার সদস্যদের আন্দোলনের কারণে টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ হয়ে ছিলেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
Discussion about this post