শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিগত সরকারের আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়ে রিভিউ পিটিশন দায়ের এবং ২০০৮ হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট।
গত ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নব-নিযুক্ত ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ’র সভাপতিত্বে ধানমন্ডিস্থ নগর কার্যালয়ে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত হওয়ায় সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ-কে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়।
এ সভায় বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পদোন্নতি বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিধি অনুযায়ী গঠিত নির্বাচনী বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ছাত্র-জনতার দাবীর মুখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর নাম পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠাকালীন নাম মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামকরণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সব আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য প্রফেশনাল বডি/সংস্থাকে দায়িত্ব প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
Discussion about this post