নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানন্ত্রীর কাছে প্রণোদনা চেয়ে নিজেদের ফেসবুকে খোলা চিঠি পোস্ট করেছেন দেশের ৬ লাখ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক। রবিবার (১৭ মে) শিক্ষকরা নিজেদের ফেসবুকে আইডিতে এই খোলা চিঠি পোস্ট করেন।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৬ লাখ শিক্ষক সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি ফেসবুকে পোস্ট করেছি। করোনার এই সংকটে কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ। শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনা চেয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের এমন সংকটের সময় আমরা তাকিয়ে আছি প্রধানমন্ত্রী দিকে। এই মুহূর্তে আমরা আপনার প্রণোদনা প্রত্যাশী। আমাদের জন্য সহজশর্তে দীর্ঘ মেয়াদিঋণের ব্যবস্থা করুন। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখুন।’
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্যপরিষদের সভাপতি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেছেন, “করোনার ক্রান্তিলগ্নে আমরা প্রায় ষাট হাজার প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশ লাখ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবার মানবেতন জীবনযাপন করছি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা কোনো টিউশন ফি আদায় করতে পারিনি। তাই শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।”
কিন্ডারগার্টেন জাতীয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হয় (৯৯ শতাংশ) কিংবা একটু স্বচ্ছল অথচ বেকার কোনো ছেলে বা মেয়ে নিজের বাসার একটি রুমে হয়তো এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান চালু করেন। করোনাকালীন বন্ধেও প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়িভাড়া ঠিকই দিতে হয় যদিও শিক্ষার্থী বেতন নেই এই দুইমাস যাবত। অন্যান্য বিলও প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্যিক হারে পরিশোধ করতে হয় যা এখনও অব্যাহত আছে। কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইভেট বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক প্রতিষ্ঠান থেকে নামমাত্র বেতন পান, তারা নির্ভর করেন মূলত প্রাইভেট টিউশনির ওপর।
করোনাকালে দীর্ঘ ও অনিশ্চিত এই বন্ধে তাদের টিউশনি যেমন বন্ধ রয়েছে তেমনি অনিশ্চিত হয়েছে তাদের উপার্জন। তারা না পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন, না পাচ্ছেন প্রাইভেট পড়ানো বাসা থেকে কোনো বেতন। কাজেই জীবন চালানো, সংসার চালানো তাদের জন্য হয়েছে দুরূহ। গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ শুরু হয়েছে এবং কয়েক দফায় বাড়িয়ে তা রোজা, ঈদসহ ৬জুন পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। ঈদের পরও প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। করোনাকালীন বন্ধে বেসরকারি অথচ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু নিজস্ব আয়ে চলা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন কিন্ডারগার্টেন, স্বীকৃত অথচ নন-এমপিওভুক্ত, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নয়, একেবারেই ব্যক্তিগত এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের দিন কীভাবে কাটছে?
ঈ
Discussion about this post