শিক্ষার আলো ডেস্ক
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বহুল আলোচিত নির্মম হত্যার ৫ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্মম নির্যাতন চালিয়ে ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করে। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবরার ফাহাদ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাত ৩টার দিকে হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।
আবরার হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ২০ জনের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া এ মামলার অপর পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। সব আসামির দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের জোর দাবি জানিয়েছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসি চেয়েছেন তিনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবরারের মা সাংবাদিকদের বলেন, ছেলের আম্মু ডাক এখনও কানে বাজে, ওটা ভুলতে পারি না। এই সন্তানকে ভোলার নয়। তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা মনে হলেই ঠিক থাকতে পারিনা। হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আসামিদের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। কেউ কেউ পলাতক রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
আবরারের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজও বুয়েটে যন্ত্র কৌশলে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
Discussion about this post