শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই জমায়েত থেকেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদচ্যুতি ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে সময়সীমা বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন৷ এর মধ্যে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতি ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে শহীদ মিনারে বেলা তিনটা থেকে প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। এই সভা থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে মিথ্যাচার করে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ করা হয়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম সেখানে যোগ দেন।
সেখানে প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেন অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ৷
কর্মসূচির সমাপনী বক্তব্যে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যে শহীদ মিনার থেকে আমরা এক দফা ঘোষণা দিয়েছিলাম, সেখান থেকে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করতে চাইছি। আমাদের প্রথম দফা, যে সংবিধানের মধ্য দিয়ে চুপ্পু বলবৎ রয়েছে, এই মুজিববাদী বাহাত্তরের সংবিধানকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সেই সংবিধানের জায়গায় ২০২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে।’
আরও পড়ুনঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন
হাসনাত আবদুল্লাহ ঘোষিত অন্য চার দফা দাবি হচ্ছে এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলার মাটি থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ফ্যাসিবাদের সংবিধানের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে (মো. সাহাবুদ্দিন) এই সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে। অভ্যুত্থান ও জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের আলোকে ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে প্রক্লেমেশন অব রিপাবলিক ঘোষণা করতে হবে এবং এর ভিত্তিতে দেশে বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এই তিন নির্বাচনে যাঁরা সংসদ সদস্য ছিলেন, তাঁদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে এবং তাঁরা যেন ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক না হতে পারেন ও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ দফা বাস্তবায়ন না হলে আমরা রাস্তায় নেমে আসব। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা সরকার হয়েছেন। কিন্তু পেছনে মুজিবের ছবি না লাগিয়ে ৫ আগস্টের গণভবন, বঙ্গভবন ও সংসদের ছবিটি প্রত্যেকের কক্ষের সামনে লাগিয়ে রাখবেন। মনে রাখবেন, যখনই সরকার জনমুখী না হয়ে ক্ষমতামুখী হয়, তাদের অবস্থা ঠিক ওই সংসদের মতো হবে।’
Discussion about this post