ক্যারিয়ার ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠবে। এক সপ্তাহের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার কাজটি শেষ হবে।
দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে সায়েদুর রহমান বলেন, চিকিৎসক নিয়োগের একটা কথা আসছে, অনেক চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে। ৪৫, ৪৬ এবং ৪৭ এই তিন বিসিএসের মাধ্যমে ৪৫০ জন, ১ হাজার ৬৮২ এবং ১ হাজার ৩৩১ জন চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান। তারপরও প্রত্যন্ত অঞ্চলের কথা বিবেচনা করে আমরা জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুনঃ জনবল নিয়োগে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন
তিনি বলেন, চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হলেও সেটি হয়নি। গত ৫ মার্চ এ বিষয়টিকে পুনরায় বিবেচনার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুরোধপত্র পাঠানো হয়েছে। এতে চিকিৎসকদের বিসিএস দেওয়ার বয়সসীমা ৩৪ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের সর্বনিম্ন বেতন সরকার নির্ধারণ করে দেবে জানিয়ে সায়েদুর রহমান বলেন, বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে যেসব চিকিৎসক কর্মরত আছেন তাদের একটি বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) দাবি করা হয়েছে। আসলে তাদের পে-স্কেল দেওয়াটা একটা দুরুহ বিষয়। কারণ, এটি ইউনিফর্ম কাঠামো নয়। ঢাকা, বিভিন্ন মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা শহর, বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের বেতন ক্রম ভিন্ন হবে।
বিশেষ সহকারী বলেন, তবে চিকিৎসকদের জন্য একটি সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোর প্রস্তাব দেব। বেসরকারি যেসব চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অতিসত্বর আমরা একটি সর্বনিম্ন বেতন চিকিৎসক এবং চিকিৎসকদের সহায়ক নার্সসহ অন্যান্যদের জন্য প্রণয়নের চেষ্টা করব। আমরা আশাবাদী যে অল্প দিনের মধ্যেই এই বেতন ঘোষণা করতে সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠবে। এক সপ্তাহের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার কাজটি শেষ হবে।
Discussion about this post