বিশেষ প্রতিবেদক
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার সামান্য বাড়লেও চমক জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার জিপিএ ৫ সর্বোচ্চ। বিশেষ করে গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ ৫ বেড়েছে ৩০ হাজার ৩০৪টি। মেয়েদের ফলও নজরকাড়া। ছেলেদের তুলনায় কম মেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে তারা এগিয়ে।
এবার ৯টি সাধারণ বোর্ডসহ মোট ১১টি বোর্ডে পাসের হার ৮২.৮৭ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ০.৬৭ শতাংশ বেশি। জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৩০ হাজার ৩০৪ জন বেশি।
এবার ১০ লাখ ২১ হাজার ৪৯০ জন ছাত্র অংশ নিয়ে পাস করেছে আট লাখ ৩৩ হাজার ৮৯২ জন, পাসের হার ৮১.৬৩ শতাংশ। আর ১০ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে পাস করেছে আট লাখ ৫৬ হাজার ৬৩১ জন, পাসের হার ৮৪.১০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৫ হাজার ৭৫৪ জন ছেলে এবং ৭০ হাজার ১৪৪ জন মেয়ে। ছেলেদের তুলনায় চার হাজার ৩৯০ জন মেয়ে বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে।
এসএসসি ও সমমানের ফল থেকে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর বাদ দেওয়ার পর ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফল ছিল নিম্নমুখী। গত বছরের ঊর্ধ্ব ধারার পর এবারের ফল আরো ভালো হয়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে সৃজনশীলে ভীতি কাটানো, গণিত আর ইংরেজিতে ভালো ফল এবং খাতা মূল্যায়নের বর্তমান পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এবার ভালো ফলের পেছনে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে গণিত ও ইংরেজি।
এবার ৯টি সাধারণ বোর্ডসহ মোট ১১টি বোর্ডে পাসের হার ৮২.৮৭ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ০.৬৭ শতাংশ বেশি। জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন, যা গত বছরের তুলনায় ৩০ হাজার ৩০৪ জন বেশি।
এবার ১০ লাখ ২১ হাজার ৪৯০ জন ছাত্র অংশ নিয়ে পাস করেছে আট লাখ ৩৩ হাজার ৮৯২ জন, পাসের হার ৮১.৬৩ শতাংশ। আর ১০ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৮ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে পাস করেছে আট লাখ ৫৬ হাজার ৬৩১ জন, পাসের হার ৮৪.১০ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৬৫ হাজার ৭৫৪ জন ছেলে এবং ৭০ হাজার ১৪৪ জন মেয়ে। ছেলেদের তুলনায় চার হাজার ৩৯০ জন মেয়ে বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে।
শত ভাগ পাস করেছে তিন হাজার ২৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে, যা গত বছরের তুলনায় ৪৪০টি বেশি। আর শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৪টি, যা গতবারের চেয়ে তিনটি কম। বিভাগভিত্তিক পাসের হারেও বরাবরের মতো ভালো করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৯৪.৫৪ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৭৬.৩৯ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৮৪.৮০ শতাংশ।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৫৩১ জন, মানবিক বিভাগ থেকে দুই হাজার ৭৫০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে তিন হাজার ৮৫০ জন। মোট জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছে ২৩.১০ শতাংশ। আর মানবিক বিভাগ থেকে দশমিক শূন্য ৩৫ শতাংশ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১.১৩ শতাংশ জিপিএ ৫ পেয়েছে।
বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার ইংরেজি ও গণিতে ভালো করেছে শিক্ষার্থীরা। ইংরেজিতে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৪.০৫, গত বছর যা ছিল ৯০.৭৯ শতাংশ। গণিতে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৫.৯৭, যা গত বছর ছিল ৮৩.৪৭ শতাংশ। অন্যান্য বোর্ডের মধ্যে ইংরেজিতে এবার রাজশাহী বোর্ডে ৯৮.৫৩ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯৭.৮১, যশোরে ৯৫.০১, চট্টগ্রামে ৯৪.০৭, বরিশালে ৯১.৪৭, সিলেটে ৯৭.০৫, দিনাজপুরে ৯৪.৯৮, ময়মনসিংহে ৯৬.৪৩, মাদরাসা বোর্ডে ৯৭.৫১ ও কারিগরি বোর্ডে ৯৬.৫৩ শতাংশ পাস করেছে। গণিতে পাস করেছে রাজশাহীতে ৯৪.৪৬, কুমিল্লায় ৮৮.৯৩, যশোরে ৯৭.৪৮, চট্টগ্রামে ৯৫.১৫, বরিশালে ৮৫.৪৮, সিলেটে ৮৫, দিনাজপুরে ৮৯.৫৮, ময়মনসিংহে ৮৪.৮৩, মাদরাসায় ৮৭.৫৪ ও কারিগরি বোর্ডে ৮৬.০৮ শতাংশ।
বোর্ডওয়ারি ফলাফলের মধ্যে এবার রাজশাহী বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ভালো ফল করেছে ৯০.৩৭ শতাংশ এবং সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে কারিগরি বোর্ডে ৭২.৭০ শতাংশ। তবে গত বছরের তুলনায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বোর্ড বেশ ভালো করেছে।
Discussion about this post