বিশেষ প্রতিবেদক
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগেই একটি উত্তরপত্র প্রশিক্ষিত নিরীক্ষকদের বিতরণ করা হয়েছে। তার আলোকে শিক্ষকরা খাতা মূল্যায়ন করেছেন। এবার যারা পাস করতে পারেনি তারা মন খারাপ না করে আগামী বছর পুনরায় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
আন্ত শিক্ষা বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘ভালো ফলের পেছনে সুনির্দিষ্ট করে কারণ ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। তবে গত বছরের চেয়ে এবার মেধাবী শিক্ষার্থী বেশি ছিল। তারা যত্ন করে পড়ালেখা করেছে। বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা ভালো করায় জিপিএ ৫ বেড়েছে। আর ইংরেজি ও গণিতে ভালো করায় পাসের হার বেড়েছে। জিপিএ ৫ বাড়লেও তা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ৬.৬৬ শতাংশ। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা আরো ভালো করুক।’
জানা যায়, এখন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন হয় সৃজনশীল পদ্ধতিতে, যা নিয়ে ভীতি ছিল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তবে আগের চেয়ে এখন এই পদ্ধতি অনেক বেশি আত্মস্থ করতে পারছেন তাঁরা। তিন বছর ধরে উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরিবর্তন এনেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষকদের খাতা দেওয়ার আগে প্রশিক্ষণ জোরদার করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের একটি করে মডেল উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয়, যাতে সবাই কাছাকাছি নম্বর দিতে পারেন। প্রথম দিকে এই উত্তরপত্র মূল্যায়নে কিছুটা ভীতি থাকলেও এখন তা কেটে গেছে।
Discussion about this post