অনলাইন ডেস্ক
ইন্টারফেরন বিটা-ওয়ান বি এর সঙ্গে লোপিনাভির-রিটোনাভির এবং রিবাভাইরিনের সংমিশ্রণে একটি অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি (চিকিত্সা) তৈরী করেছেন গবেষকরা।
হংকংয়ের ছয়টি সরকারী হাসপাতালে করোনা চিকিত্সায় এই চিকিত্সা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে সুফল মিলেছে বলে জানা গেছে।
দুই সপ্তাহের কোর্সটি কভিড-১৯ রোগীদের উপসর্গগুলি দেখা দেয়ার সাতদিনের মধ্যে ব্যবহার করা শুরুর পর সুফল মিলেছে।
করোনা চিকিত্সার ক্ষেত্রে এটা নুতন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ইন্টারফেরন বিটা -ওয়ান বি এর সঙ্গে লোপিনাভির-রিটোনাভির এবং রিবাভাইরিনের সংমিশ্রণের অ্যান্টিভাইরাল থেরাপিটি দুই সপ্তাহ ব্যবহার করা হয়।
কভিড-১৯ রোগীদের উপসর্গ দেখা দেয়ার সাতদিনের মধ্যে তিনটি সংমিশ্রণে থেরাপি (চিকিত্সা) দেয়া শুরু হয়।
কভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে এটার ব্যবহার লোপিনাভির-রিতনোবির চেয়ে নিরাপদ বলে জানানো হয়েছে। এটা ’ভাইরাল শেডিং’-এর সময়কাল হ্রাস করতে আরও কার্যকর।
সম্প্রতি হংকংয়ের ছয়টি পাবলিক হাসপাতালে এই নতুন চিকিত্সা দেয়া হয়েছে।
সেখানে ১২৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়স্ক) ব্যক্তির উপর এই ট্রিপল কম্বিনেশন থেরাপির ট্রায়াল দেয়া হয়েছে। এতে অনেকটা সাফল্য পেয়েছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট সাময়িকীতে এই গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
করোনা রোগীদের উপর এ ট্রিপল সংমিশ্রণের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে আরো ৩টি ট্রায়ালের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়া হয়েছে।
সূত্র : ক্লিনিক্যাল সার্ভিস জার্নাল (সিএসজে)
Discussion about this post