নিউজ ডেস্ক
এলাকাভেদে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোন করে লকডাউন ঘোষণা সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৮ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়।
জোনিং করে লকডাউনের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি, মন্ত্রী (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) মহোদয়ের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে সংক্রামক ব্যাধি আইন আছে, এটা সেই আইনের মধ্যে দেয়া আছে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর অথরাইজড।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন যে, আইনটি ব্যবহার করে যেভাবে জোনিং করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে এটা সারা পৃথিবীতে করা হচ্ছে। এটাতে সুবিধা আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য এক্সিকিউটিভ মিনিস্ট্রি, তারা বসেই যদি মনে করে কোনো জায়গাটাকে…. রেড জোন ডিক্লেয়ার করলে সবার জন্যই ভালো, কারণ সবাই তখন সতর্ক হতে পারবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনো এলাকায় যদি অধিক সংক্রমণ থাকে সেই এলাকাকে যদি স্পেশালি নিয়ন্ত্রণে নেয়া যায়, সে বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন গতকালই।’
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হবে।
বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা সংক্রমণমুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন করা হবে। গ্রিন জোনে সতর্কতা এবং ইয়েলো জোনে সংক্রমণ যেন আর না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ থাকলেও রেড জোনে করোনার বিশেষ গাইডলাইন অনুযায়ী কঠোর হবে পুলিশ।
Discussion about this post