অনলাইন ডেস্ক
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ কভিড-১৯ বা নতুন করোনাভাইরাস চিকিৎসায় দু’টি অ্যান্টিবডি থেরাপির অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি এলি লিলি এই দু’টি অ্যান্টিবডি থেরাপি তৈরি করেছে। পরীক্ষামূলকভাবে তা ইতোমধ্যে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে।
বুধবার (১বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড্যানিয়েল স্কোভ্রনস্কি।
করোনার চিকিৎসায় উপযোগী কিনা তা জানতে আরও একটি অ্যান্টিবডি থেরাপির প্রিক্লিনিক্যাল গবেষণা শুরু করেছে এলি লিলি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেটিও মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে।
এলি লিলি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে দু’টি অ্যান্টিবডি থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে তা ইতোমধ্যে ক্যান্সার, রিউম্যাটয়েড আরথ্রাইট্রিসসহ কয়েকটি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এই অ্যান্টিবডি থেরাপিকে এলি লিলির বিজ্ঞানীরা নতুন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করেছেন।
ড্যানিয়েল বলেন, ‘যাদের ওপর অ্যান্টিবডি থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের যদি আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে হাসপাতালে না ভর্তি হওয়া লাগে, তাহলে তা আমাদের জন্য একটি ইতিবাচক নির্দেশনা। সে অনুযায়ী তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জরুরি ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে থেরাপি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে।’
চলতি মাসের শুরুতে করোনা আক্রান্তদের ওপর অ্যান্টিবডি থেরাপি দু’টির পৃথক পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে এলি লিলি। এলওয়াই কভ৫৫৫ নামের অ্যান্টিবডি থেরাপিটি এলি লিলি তৈরি করেছে কানাডার বায়োটেক কোম্পানি আবসেলেরার সঙ্গে। জেএস০১৬ নামে আরেকটি অ্যান্টিবডি থেরাপি এলি লিলি তৈরি করেছে চীনের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি সাংহাই জুনশি বায়োসায়েন্সেসের সঙ্গে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথক দু’টি অ্যান্টিবডি থেরাপির ইনজেকশনেই করোনাভাইরাসের প্রোটিন স্পাইক ধ্বংস হবে। ভাইরাসের প্রোটিন স্পাইক মানুষের কোষে প্রবেশ করে এবং প্রতিলিপি তৈরিতে মূল ভ’মিকা পালন করে।
করোনা সংক্রমিত রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি থেরাপি জীবন রক্ষাকারী হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। টিকা দেওয়ার উদ্দেশ্য আর অ্যান্টিবডি থেরাপির উদ্দেশ্য একই। এ দু’টি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়। যা ভাইরাস নির্মূলে মূল ভ’মিকা রাখে।
বিশ্বজুড়ে নজিরবিহীন দ্রুততায় করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের কাজ চলছে। আগামী বছরের আগে কোনো টিকাই মানুষের শরীরে চূড়ান্তভাবে ব্যবহার উপযোগী নাও হতে পারে। তার আগে কার্যকর অ্যান্টিবডি থেরাপি পাওয়া গেলে তা করোনা নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
Discussion about this post