নিউজ ডেস্ক
বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরে করোনা সঙ্কট মোকাবিলোয় যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য জরুরি ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করে এ প্রস্তাব রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মহামারি করোনা ভাইরাস সংকটময় পরিস্থিতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তায় রেখে এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় ১ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ সহায়তায়’ ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্ড অ্যান্ড প্যানডেমিক রেসপন্স’ নামে ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন বাজেটের আওতায় প্রকল্প দু’টিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাজেটে বরাদ্দের টাকায় জেলা পর্যায়ের হাসপাতালের পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার যে কর্মকৌশল নিয়েছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করবে। সেইসঙ্গে কার্যকর সার্ভেইলেন্স ও ডায়াগনস্টিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, পিপিইর যোগান বৃদ্ধি এবং ভেন্টিলেটর ও আইসোলেশন ইউনিট বাড়ানোর মাধ্যমে সংক্রমণের বিস্তাররোধে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
Discussion about this post