অনলাইন ডেস্ক
এবারের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবার ওপর আরেক দফা কর বাড়িয়েছে সরকার। ফলে আজ মধ্যরাত থেকে এসএমএস, কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের বাড়তি অর্থ গুনতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেন। এতে এই নতুন করে এই কর বাড়ানো হয়। বাজেটের কর প্রস্তাব ঘোষণার পরপরই কার্যকর হয়।
এই দফায় সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে গ্রাহক তার সিমে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৩৩ টাকা ২৫ পয়সা নেবে সরকার। বাজেট ঘোষণার আগে প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকার নিতো ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। মোবাইল ফোন অপারেটররা এই ব্যয় নিজে বহন না করলে তা গ্রাহকদেরই দিতে হবে।
নতুন করহারে মোবাইল ফোন সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এই বাড়তি খরচ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো। আগের অর্থবছরেও ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল সম্পূরক শুল্ক।
প্রতি বছরই দফায় দফায় টেলিকম সেবার ওপর ট্যাক্স বৃদ্ধিকে সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের পরিপন্থী বলে মনে করছেন মোবাইল ফোন অপারেটররা। তারা বলছেন, আগে থেকেই টেলিকম খাতে বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ ট্যাক্স রয়েছে বাংলাদেশে। এখন এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। নতুন ট্যাক্স কাঠামোতে গ্রাহকের জন্যে গুণগত সেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে বলেও মনে করেন তারা।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) বলছে, নিয়মিতভাবে করের বোঝা চাপিয়ে সরকার মোবাইল খাতকে ক্রমেই দুর্বল করে তুলছে, ফেলছে গ্রাহকদের ওপর বাড়তি চাপ।
এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোবাইল ফোন সেবার ওপর এক শতাংশ সারসার্জ আরোপ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আরোপ হয় ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ও ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। আর চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সম্পূরক শুল্ক আরো বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল।
Discussion about this post