নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষা খাতে বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে আসন্ন অর্থবছরে ৫ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটে নতুন হিসেবে করোনাভাইরাসজনিত ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষার উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের জোগান রাখার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মেধাবৃত্তি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে প্রায় ছয় লাখ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে আরও ১ লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এতে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতায় সেই ক্ষতির কথা উঠে আসে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় (দুই বিভাগ) মিলিয়ে শিক্ষা খাতে মোট ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে এই দুই মন্ত্রণালয়ের বাজেট ধরা হয় ৬১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
মোট বাজেটের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছ, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, যা এ বছর ধরা হয় ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। আর কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা, যা এ বছর আছে ৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।
প্রাথমিক শিক্ষায় প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন অচিরেই সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার উন্নয়নকে বেগবান করতে আমরা এখন জোর দিচ্ছি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও উচ্চশিক্ষায় গবেষণার ওপর।’
Discussion about this post