নিউজ ডেস্ক
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার কাজ শেষ করেছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। আগামী বুধবার (১৭ জুন) পরীক্ষার প্রতিবেদন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে জমা দেবে কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বিএসএমইউ।
এদিকে এর ফলাফল ইতিবাচক আসবে বলেই প্রত্যাশা করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গত ৩০ এপ্রিল বিএসএমএমইউ বা আইসিডিডিআরবিতে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এরপর ১৩ মে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। পরীক্ষা খরচ বাবদ চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেয় তারা।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিকদেরকে এ ব্যাপারে বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যের কিটের পরীক্ষা শেষ। এর ডাটা প্রসেসিংয়ে আছে। আগামী বুধবার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে প্রতিবেদন জমা দেবো।’
কিটের পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হলেই তো আর ফলাফলের বিষয়ে বলা যাবে না। ডাটা প্রসেস শেষ হলে সেইগুলা এডিট করে তারপর আমাকে ফলাফল জানাবেন তারা। এখনও এর সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। ফলাফলের বিষয়ে কিছু ধারণা করা ঠিক হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, বিএসএমএমইউ দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। আশা করি সঠিক সিদ্ধান্তটা দেবেন এবং ফলাফলটা জমা দেবেন। তাদেরকে যে কিট দেওয়া হয়েছে, একই কিট দিয়ে পরীক্ষা করছি আমরাও। ফলাফল কেমন হবে আমাদেরও আইডিয়া আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো আসছে। এটার ডিজাইন যেভাবে করেছি, সেভাবেই রেজাল্ট পাচ্ছি। এখানে কোনও গরমিল হচ্ছে না। বিএসএমএমইউ এমনটি পাবে বলে আশা করছি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, বিএসএমএমইউ কিটের ফলাফল পজিটিভ দিলেই বাজারে আসবে বিষয়টি এমন নয়। পরবর্তী ধাপে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য আন্তরিক হতে হবে ।
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, বিএসএমএমইউ’র পরবর্তী ধাপের কাজ ওষুধ প্রশাসনের। তাদের কাছে মালামাল আমদানি করতে অনুমতির আবেদন দেওয়া আছে। তারা যত দ্রুত অনুমতি দেবেন, ততই দ্রুত কাঁচামাল আমদানি করতে পারবো। তাদের অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করতে পারবো।
Discussion about this post