আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনার আঘাতে অস্তিত্ব নিয়ে রীতিমতো হুমকির মুখে পড়েছে মানব প্রজাতি। দিন দিন এর তাণ্ডবে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এরই মাঝে এ ভাইরাসে প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক পাওয়া যায়নি।
কবে নাগাদ এর প্রতিষেধক আসবে, কবে নাগাদ এ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি মিলবে, এসবের উত্তর পেতে মরিয়া হয়ে আছে মানুষ।
এরই মাঝে করোনার নির্মূল হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর দাবি জানিয়েছেন ভারতের চেন্নাইয়ের এক পরমাণু বিজ্ঞানী। ড. কে এল সুন্দর কৃষ্ণা নামের ওই বিজ্ঞানী জানান, আসছে ২১ জুন একই সঙ্গে সূর্যের বলয়গ্রাস ও পূর্ণগ্রাস হবে। সেদিনই করোনা পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে।
সোমবার (১৫ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সূর্যগ্রহণের সঙ্গে করোনার জন্ম রহস্যের সংযোগ আছে দাবি করে কে এল সুন্দর কৃষ্ণা জানান, করোনা এসেছে মহাকাশ থেকে। গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর মেলে। ২৬ ডিসেম্বর ছিল সূর্যগ্রহণ। তারপর থেকেই এমন একটা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যেতে থাকে।
‘মূলত ওই সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক বদল ঘটে। তার থেকেই করোনার জন্ম। আগামি সূর্যগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবী থেকে এ ভাইরাস বিলীন হয়ে যাবে। আগামী ২১ জুন একই সঙ্গে সূর্যের বলয়গ্রাস ও পূর্ণগ্রাস হবে। সেদিনই পৃথিবীতে শেষ হবে করোনা দাপট।’
নিজের তত্ত্বের ব্যাখা দিয়ে ড. কৃষ্ণা বলেন, ২৬ ডিসেম্বরের সূর্যগ্রহণকালে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তড়িতাহত কণাগুলোর মধ্যে একটা বড়সড় রাসায়নিক বদল হয়েছিল। বায়ো-নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশনে করোনার নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। এই স্তরটিকে বলা হয় ‘ডি-লেভেল’।
তবে কীভাবে ডি লেভেলে ভাইরাস তৈরি হতে পারে তার কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।
Discussion about this post