নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় ১০ চিকিৎসককে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। একই অভিযোগে একজন স্টোরকিপারকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী।
বরখাস্ত চিকিৎসকরা হলেন- চসিকের মেডিকেল অফিসার ডা. সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ডা. ফরিদুল আলম, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. সেলিনা আক্তার, ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. মোহন দাশ, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. সন্দিপন রুদ্র, ডা. হিমেল আচার্য্য, ডা. প্রসেনজিৎ মিত্র। এছাড়া অব্যাহতি পেয়েছেন স্টোরকিপার মহসিন কবির।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে অবস্থিত একটি কমিউনিটি সেন্টারে ২৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার খোলে। ওই আইসোলেশন সেন্টারে করোনা এবং করোনার উপসর্গ থাকা ২৫০ রোগী একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবেন। আগামীকাল বুধবার (১৭ জুন) থেকে সেখানে রোগী ভর্তি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
ওই আইসোলেশন সেন্টারের জন্য ১৬ জন চিকিৎসক ও নার্স-ব্রাদারসহ আরও ২০ জন, মোট ৩৬ জনকে বাছাই করা হয়। তারা সবাই সিটি করপোরেশন পরিচালিত বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মী। আইসোলেশন সেন্টার চালুর আগে তাদের তিন দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে সিটি করপোরেশন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি কর্মকর্তারা এই প্রশিক্ষণ দেন। কিন্তু গত রোববার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের প্রশিক্ষণে ১০ চিকিৎসক এবং একজন স্টোরকিপার অনুপস্থিত থাকেন। টানা তিন দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে মঙ্গলবার বিকেলে চসিক সচিব স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
Discussion about this post