অনলাইন ডেস্ক
এ বছরের শেষ নাগাদ করোনাভাইরাসের কয়েক লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এসব টিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডব্লিউএইচও’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব জুড়ে মহামারিতে পরিণত হওয়া করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জোরালো প্রচেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন সম্ভব হয়নি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে চার লাখ ৫৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৮৫ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।
ডব্লিউএইচও’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথান জানান, বর্তমানে বিশ্বে করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে দুইশ’টিরও বেশি প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে দশটি মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভাগ্য প্রসন্ন হলে এই বছরের মধ্যে এক থেকে দুটি সফল টিকা পেয়ে যাবো।’ এই অনুমানের ভিত্তিতে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো দ্রুত কাজ চালানোয় ২০২১ সালের শেষ নাগাদ দুইশ’ কোটি ডোজ টিকা তৈরি করা যাবে।
করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবন সফল হলে তিন গ্রুপের মানুষের জন্য এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়বে বলে জানান সৌম্য স্বামীনাথান। তারা হলেন, চিকিৎসাকর্মী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মতো সামনের কাতারের কর্মী; সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা বয়স্ক এবং ডায়বেটিক রোগী এবং শহুরে বস্তি বা কেয়ার হোমে অবস্থান করা উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা মানুষেরা।
গত মাসে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির নির্বাহীরা জানান, ২০২১ সাল শুরুর আগে করোনাভাইরাসের এক বা দুটি টিকা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভাইরাসটিকে পরাজিত করতে দেড়শ’ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন পড়বে।/জেজে/বিএ/
Discussion about this post