নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী বুধবার (২৪ জুন) দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৮০ শিক্ষার্থীর মাঝে জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) এর মাধ্যমে উপবৃত্তির প্রায় ৩২৮ কোটি টাকা পৌঁছে যাবে। শিক্ষার্থীর নির্ধারিত মােবাইল একাউন্টে এ টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (২২ জুন) এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। আগে ম্যানুয়াল পদ্বতিতে বৃত্তি দেয়া হত এবং শিক্ষার্থীদের টাকা পেতে অনেক ঝামেলা হত। অনলাইনে বৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার ফলে জিটুপি পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বরে পৌঁছে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো: শাহেদুল খবির চৌধুরী, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির স্কিম পরিচালক শরীফ মুর্তাজা মামুন প্রমুখ। অনলাইনে বৃত্তি প্রদানের এ সেবাটি মুজিববর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ২৭ হজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৭৮০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩২৮ কোটি ১৪ লক্ষ ১ হাজার ৯০০ টাকা জিটুপি (G2P) পদ্ধতিতে (অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে উপবৃত্তি অর্থ সরাসরি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্ধারিত মােবাইল একাউন্টে পৌঁছে যাবে) প্রেরণ করা হয়েছে। যা আগামী বুধবার (২৪ জুন) শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, একই সময়ে মাননীয় মন্ত্রী জিটুপি পদ্ধতিতে ২০১৯ সালের পিইসি, এবং জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১৭ কোটি ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৫ টাকা প্রদানের কার্যক্রমও উদ্বোধন করেন। প্রতি অর্থবছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জনকে ১৮৭ কোটি টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তি প্রাপ্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত অর্থ পর্যায়ক্রমে অনলাইনে প্রেরণ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, শিক্ষার্থী নির্বাচন করার পরে শিক্ষার্থীর আবেদন দাখিল, প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক অনুমােদন, প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ইএনও এর নিকট তালিকা দাখিল, ইউএসইও কর্তৃক অনুমােদন অতঃপর তা স্কিম পরিচালকের নিকট দাখিল ও অনুমােদন, স্কিম পরিচালক কর্তৃক বিল দাখিল, মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষণ অফিস কর্তৃক বিল পাসের পর বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সংশ্লিষ্ঠ মােবাইল সার্ভিস প্রােভাইডারদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মােবাইলে পৌছে দেয়া এই পুরাে কাজটি অনলাইনে করা হবে।
Discussion about this post