নিউজ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ করেই প্লাজমা দিয়েছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। রোববার রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্লাজমা ডোনেট করেন তিনি। নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডা. ফেরদৌস।তিনি বলেন, ‘ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের অষ্টম তলায় প্লাজমা ডোনেশন প্রোগাম থেকে বলছি। আজকে আমি বের হয়েছি কোয়ারেন্টিন শেষে একটি মহৎ উদ্দেশ্যে।’
নিজের প্লাজমা ডোনেশনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. ফেরদৌস খন্দকার বলেন, ‘প্লাজমা ডোনেশন নিয়ে দুটি কথা বলব। আমি নিজেও এই মুহূর্তে প্লাজমা ডোনেট করছি, যেহেতু আমার অ্যান্টিবডি পজিটিভ আছে। আপনারা জানেন যে, করোনা পরিস্থিতিতে একটি পরীক্ষিত চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে প্লাজমা। বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে অনেকই কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন। কিন্তু সেই তুলনায় প্লাজমা দাতা একেবারে নগণ্য।’
তিনি বলেন, ‘এটা কিছুই না। সিম্পল একটা মেশিন। আপনার ব্লাডটি নিয়ে পরিশোধিত করে আলাদা করে আপনার রক্তের কণিকাগুলো আপনাকে ফেরত দেবে, তারা শুধু রক্তের পানি অংশটুকু রেখে দেবেন, যেটিকে প্লাজমা বলা হয়।’
সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্লাজমা ডোনেশন তেমন ব্যয়বহুল কিছু না। কেউ দিতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং শেখ হাসিনা র্বান ইউনিটে এসে দিতে পারেন।’ডা. ফেরদৌস বলেন, ‘১০ দিন পর পর দিতে পারেন বেশ কয়েকবার। এটি এখানকার ডাক্তাররা নির্ধারণ করবে আপনি কয়বার দিতে পারবেন। এটি দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ঝুঁকি নেই।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে চিকিৎসা দিতে দেশে এসেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি ডা. ফেরদৌস খন্দকার। দেশে আসার আগে ও পরে তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশকোনার হজ ক্যাম্পে, সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন শেষে রোববার ছাড়া পান তিনি।
Discussion about this post