আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে প্রতিদিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে আগের দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের রেকর্ড। বৃহস্পতিবার(২৫জুন) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯২২ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। এর আগে এক দিনে এত মানুষ সংক্রমিত হননি। করোনার থাবায় এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যাও ১৫ হাজার ছুঁই ছুঁই। সংক্রমণ বৃদ্ধি ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে বিস্তার রোধে নমুনা পরীক্ষাও বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। বুধবার একদিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে দুই লাখের বেশি। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং রাশিয়ার পরেই বিশ্বের চতুর্থ ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১০৫ জন।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সকালে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, করোনায় বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ৪১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৯৪ জনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে শুধু মহারাষ্ট্রেই। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৪২ হাজার ৯০০ জন। দিল্লিতেও প্রাণহানি ২ হাজার ৩০০ পেরিয়েছে। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৭০ হাজার ৩৯০ জন। মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা গুজরাটে মারা গেছে ১ হাজার ৭৩৫ জন। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ২৮ হাজার ৯৪৩ জন। এছাড়া তামিলনাড়ুতে ৮৬৬ জন, উত্তরপ্রদেশে ৫৯৬ জন ও পশ্চিমবঙ্গে ৫৯১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়লেও সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতকে। এরইমধ্যে মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ২ লাখ ৭১ হাজার ৬৯৭ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭.৪২ শতাংশে।
এদিকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা রোধে করোনার পরীক্ষা বাড়িয়েছে ভারত সরকার। দুইদিন ধরে দুই লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভারতের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য ও রোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিএমআর জানিয়েছে, বুধবার দেশের ২ লাখ ১৫ হাজার ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ১ হাজার ল্যাবে নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৭৩০টি সরকারি ল্যাব ও ২৭০টি বেসরকারি।
আইসিএমআরের কর্মকর্তারা জানান, এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৭৩ লাখ ৫২ হাজার ৯১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার একটি দেশে এ পরীক্ষাই যথার্থ নয়। সংক্রমণের বিস্তার রোধে আরও দ্রুত আরও বেশি পরীক্ষা করে রোগী আলাদা করে ফেলা জরুরি।
Discussion about this post