নিউজ ডেস্ক
ইন্টারনেট খাতে ভ্যাট জটিলতা নিরসন করে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেটে ভ্যাট আরোপের পরিবর্তিত কাঠামোটি অর্ন্তভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সংগঠন ‘আইএসপিএবি’। অন্যথায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সারাদেশে কিছু সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার(৪জুন) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেয় সংগঠনটি। আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ভ্যাট জটিলতার সমাধান না হলে সীমিত আকারে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। দুই থেকে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হবে। তবে কবে কখন এই কর্মসূচি নেওয়া হবে তা জানান নি তিনি।
আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন বলেন, যোগাযোগ-প্রযুক্তি ছাড়াও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে ইন্টারনেট কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। করোনাকালে সরকারি ও বেসরকারি সংবাদ সম্মেলন, অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় বিশেষ করে বাড়িতে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ বিশেষ কার্যকরী উপায় হিসেবে চলমান আছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিল আদায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেলেও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইন্টারনেটে ৫% ভ্যাট এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) খাতে ১৫% আরোপিত ভ্যাট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৃষ্টি হওয়া জটিলতার কারণে চলমান ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। ৫ শতাংশ ভ্যাট ইন্টারনেট গ্রাহক থেকে আদায় করে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো আর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ভ্যালু চেইনের অন্যান্য খাত আইএসপিগুলো থেকে আদায় করে থাকে। এর ফলে ৫ শতাংশ ভ্যাট গ্রাহক থেকে আদায় করা হলেও আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএনকে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করতে হচ্ছে। সবমিলে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ খরচ দিতে হচ্ছে আইএসপিগুলোকে।
ইন্টারনেট খাতে ৫% এবং ১৫% ভ্যাটের জটিলতা নিরসন ও আইএলডিসি, আইআইজি, এবং আইএসপি ইন্ডাস্ট্রিকে আইটিইএস ক্যাটাগরিতে অর্ন্তভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
Discussion about this post