জমির উদ্দিন
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম পরিবহন বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে ১৮০টি পদ শূন্য। ট্রেন অপারেশনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত এসব পদে অপারেটিং স্টাফ জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া না হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরিবহন বিভাগ সূত্র জানায়, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত অপারেটিং স্টাফের ১৮০টি পদ শূন্য। এরমধ্যে সহকারী ইয়ার্ড ফোরম্যান এর ১৭টি পদ, সান্টিং জমাদার এর ২৫টি পদ, সান্টিং পোর্টার এর ২০টি ও পি-ম্যান ১১৮টি পদ খালি।
এসব পদের কর্মচারীর কাজ প্রায় একই ধরনের। ট্রেন পরিচালনায় সহকারী ইয়ার্ড ফোরম্যানরা পি-ম্যান, সান্টিং, পোর্টার, সান্টিং জমাদার কর্মচারীদের কাজে সমন্বয় সাধন করেন এবং সরাসরি ইয়ার্ডে কাজে জড়িত থাকেন। সান্টিং জমাদার পদের কর্মচারীরা ইয়ার্ড মাস্টার বা স্টেশন মাস্টারের নির্দেশনা মোতাবেক বোলিং স্টক সংযোজন-বিয়োজন বা ট্রেন ফরমেশনকালীন সান্টিং ইঞ্জিনের লোকোমাস্টারের সঙ্গে হাতের ইশারায় সংকেতের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।
সান্টিং পোর্টার কর্মচারীরা সান্টিং জমাদার কর্মচারীর সহযোগী হিসেবে কাজ পরিচালনা করেন অর্থাৎ ট্রেন সান্টিংকালীন পি-ম্যানরা ঠিকভাবে পয়েন্ট সেট করলো কি-না স্টেশন মাস্টারের নির্দেশনা মোতাবেক সে কাজ করে থাকেন। পি-ম্যানের কাজ হলো পয়েন্ট সেট করা, সিগন্যাল দেওয়া ও সান্টিং কাজ পরিচালনা করা। এছাড়া তারা গেইটকিপারের কাজও করে থাকেন।
সহকারী ইয়ার্ড ফোরম্যান, সান্টিং, পোর্টার, সান্টিং জমাদার ৭৪টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১২ জন। বাকি ৬২ জনের কাজ অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে করেন পি-ম্যানরা।
ট্রেন চলাচল কার্যক্রম চালু রাখতে চলতি বছরের মে মাসে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী ৪৫জন পি-ম্যান (কাজ নাই মজুরি নাই) নিয়োগ দেওয়া হলেও আরও ১০০ জন অস্থায়ী পি-ম্যান প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অন্যথায় ট্রেন চলাচল কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট এ এম এম শাহনেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেন চলাচল কার্যক্রম চালু রাখতে এসব পদের কর্মচারীর গুরুত্ব রয়েছে। এরা ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। চাহিদা পূরণ করতে প্রতি মাসে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না।
Discussion about this post