অনলাইন ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাসের জীবাণু নিষ্ক্রিয় করতে পারে, এমন দুটি অ্যান্টিবডির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এদের সাহায্যে সম্ভবত করোনার ওষুধও তৈরি করা সম্ভব। একদল বিজ্ঞানী এমনটাই দাবি করেছেন। সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্বের এক দল গবেষক বলছেন, দক্ষিণ আমেরিকার উটজাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণি লামার শরীরে এমন দুটি ক্ষুদ্র অথচ স্থায়ী অ্যান্টিবডি মিলেছে, যা নভেল করোনাভাইরাসের জীবাণু নিষ্ক্রিয় করতে পারে। গবেষকদের মধ্যে রয়েছেন ইংল্যান্ডের দ্য রোসালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী জেমস নাইস্মিথ ও রেমন্ড ওয়েন্স। এ নিয়ে তাঁদের একটি গবেষণাপত্র নেচার স্ট্রাকচারাল অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, লামার শরীর থেকে পাওয়া দুটি ন্যানোবডি প্রোটিন এসিই২-র সঙ্গে করোনাভাইরাস সার্স-কোভিড২ জীবাণুর যোগাযোগ ছিন্ন করে সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। এই এসিই২ প্রোটিনের মাধ্যমে করোনা জীবাণু শরীরে ঢুকে কোষগুলোকে আক্রমণ করে।
বিজ্ঞানীরা আরো বলেছেন, কোনো কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে আগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর শরীরের অ্যান্টিবডি বা বিশোধিত অ্যান্টিবডি প্রবেশ করিয়ে করোনা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব। যদিও সব অ্যান্টিবডি করোনা জীবাণুর সংস্পর্শে এলে একই রকম প্রতিক্রিয়া করে না বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, দক্ষিণ আমেরিকার স্তন্যপায়ী প্রাণী লামার শরীরের অ্যান্টিবডি করোনা জীবাণু নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, বেশিরভাগ স্তন্যপায়ীর মতো মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির দুটি শৃঙ্খল থাকে, একটি ভারী, একটি হালকা। কিন্তু লামার মতো ক্যামেলিড পরিবারের বা উটজাতীয় প্রাণীর শরীরেও অতিরিক্ত একটি ভারী অ্যান্টিবডি শৃঙ্খল থাকে, যার নাম ন্যানোবডি। এই ন্যানোবডি ক্ষুদ্র, স্থায়ী ও সহজে তৈরি করা যায়, যা সাধারণ অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসেবে রোগ প্রতিরোধে কাজে লাগতে পারে।
করোনা প্রতিরোধে লামার শরীর থেকে পাওয়া অ্যান্টিবডিগুলো এখন তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা, যা গবেষণাতে লাগবে, লাগতে পারে ওষুধ তৈরিতেও।
Discussion about this post