আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে না বিদেশি শিক্ষার্থীদের। শুধু অনলাইন ক্লাস করলে দেশটি ছাড়তে হবে বলে যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার বোস্টনে দেশটির একজন ফেডারেল বিচারক এই তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর।
মঙ্গলবার ম্যাসাচুসেটসে ডিস্ট্রিক্ট জাজ অ্যালিসন বুরোফ জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিট ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিউট অব টেকনোলজির মধ্যকার মামলায় সমঝোতা হয়েছে। সরকার নতুন আইন বাতিল ও আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। চলমান প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএন-কে জানায়, প্রস্তাবটির ফলে নেতিবাচক প্রভাবের কথা অনুধাবন করতে পেরেছে হোয়াইট হাউস এবং ওয়েস্ট উইংয়ের অনেকেই এই সিদ্ধান্তটি সুবিবেচনা প্রসূত নয় বলে মনে করেন এবং বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দিহান।
আরেকটি সূত্র জানায়, হোয়াইট হাউস এখন নতুন আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনটি বাস্তবায়ন করার বিষয়ে মনোযোগ কেন্দ্রীভুত করেছে। ইতোমধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তাদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি আর বাস্তবায়ন করা হবে না।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আপাতত দেশটিতে অধ্যয়নরত ১০ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্বস্তি ফিরবে। গত সপ্তাহে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। কারণ বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ তাদের কোর্সগুলো অনলাইনে পরিচালনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট মাত্র এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিল, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু অনলাইন ক্লাস করতে পারবেন না। শুধু অনলাইন ক্লাস করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পাল্টাতে হবে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। এরপর অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Discussion about this post