আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যৌথভাবে নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এ ছাড়া ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম করোনা ভ্যাকসিন বানানোর জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআইয়ের অনুমতি পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আদার পুনাওয়ালা জানান, প্রত্যেকের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে এখনো দেরি আছে। কারণ, কতগুলো ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। তারপর ভ্যাকসিনগুলো পৌঁছে দিতে হবে গোটা বিশ্বে। তবে প্রথম যে ভ্যাকসিনটি লাইসেন্স পাবে, সেটিই যে সবচেয়ে ভালো হবে, তা কিন্তু নয়। বিশ্বজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য একাধিক পরীক্ষা চলছে। সেরা ভ্যাকসিন কোনটি, তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে।
আদার আরো জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য পার্টনারশিপে যাওয়া ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। এ জন্য শত শত মিলিয়ন ডলার খরচ করবে তারা। ভ্যাকসিন তৈরির লাইসেন্স পেয়ে গেলে আগামী তিন মাসে লাখ লাখ করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করবে সেরাম ইনস্টিটিউট। পাশাপাশি সেরাম ইনস্টিটিউটের নিজেদের রয়েছে ‘ভিপিএম১০০২’ ভ্যাকসিন। তাদের ধারণা, যক্ষ্মা নির্মূলে কার্যকর ‘ভিপিএম১০০২’ ভ্যাকসিন করোনাযুদ্ধেও গেমচেঞ্জার হতে পারে। এক হাজারের বেশি রোগীর ওপর এ ‘ভিপিএম১০০২’ ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামী দুই মাসে জানা যাবে, তাদের করোনা সংক্রমণ কমাতে ভ্যাকসিনটি ফলপ্রসূ হয়েছে কি না।
পাশাপাশি ভারতীয় প্রযুক্তিতে সেরাম ইনস্টিটিউট পাঁচ বছর ধরে তৈরি করেছে নানা ছোঁয়াচে রোগ, বিশেষ করে নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সক্ষম একটি ভ্যাকসিন। লাইসেন্স পাওয়ার আগে অসংখ্য আন্তর্জাতিক ট্রায়াল হয়েছে সে ভ্যাকসিনের। ডিজিসিআইয়ের অনুমতির পর মানবশরীরে ভ্যাকসিনের তিনটি পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পরীক্ষার ফল খতিয়ে দেখার পর এটি তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post