নিউজ ডেস্ক
দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ দুই হাজার ৬৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর চার মাস ১০ দিন বা ১৩৪ দিন পর শনাক্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়ালো। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৭০৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৪ জন। এই পর্যন্ত করোনায় দুই হাজার ৫৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১০ হাজার ৬৩২টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৯২৩টি। এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৭৩ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট এক লাখ ১০ হাজার ৯৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৭৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪৯৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৩১ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৪১ হাজার ৫৩৮ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এক হাজার ৭৮১ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে চার লাখ সাত হাজার ৩১১ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩১৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৪৭ হাজার ৬১৮ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৬৯৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং পাঁচ জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৪০ জন এবং নারী ৫৪১ জন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচ জন, সিলেট বিভাগে চার জন, ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন, বরিশাল বিভাগে এক জন এবং খুলনা বিভাগে ছয় জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন, বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন দুই জন।
Discussion about this post