অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগের ছয়টি ধরন চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর প্রতিটির আলাদা আলাদা বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। করোনার উপসর্গ চিহ্নিতকরণে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে এমন একটি অ্যাপ থেকে জানা গেছে, যত মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ হচ্ছে, তা মোটামুটি ছয় ধরনের। মোবাইল অ্যাপটির তথ্য-উপাত্ত গবেষণা করে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা গত শুক্রবার এমনটি জানিয়েছেন।
কিংস কলেজ লন্ডনের ওই গবেষকরা বলছেন, সংক্রমণের পরিমাণ কতটা হয়েছে তার ওপরও করোনার প্রকারভেদ নির্ভর করে। এ ছাড়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, তার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে কি না, অর্থাৎ অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটর লাগছে কি না, করোনার প্রকার নির্ণয়ে সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে। এটি মূলত চিকিৎসকদের কাজে দেবে।
গবেষকদলের সহসমন্বয়ক ডা. ক্লেয়ার স্টিভস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আপনি যদি ঠিকমতো জানতে পারেন যে রোগী ‘ডে ফাইভে’ বা সংক্রমণের পঞ্চম দিনে আছে, তাহলে রক্ত পরীক্ষা করে অক্সিজেন ও সুগার লেভেল দেখে প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো দিতে পারবেন।”
ছয় প্রকার কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও উপসর্গ
১. জ্বর ছাড়া ‘ফ্লু-সদৃশ’ : মাথাব্যথা, গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, পেশিতে ব্যথা, কফ, গলাব্যথা, বুকব্যথা ও জ্বর থাকবে না।
২. জ্বরসহ ‘ফ্লু-সদৃশ’ : মাথাব্যথা, গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, কফ, গলাব্যথা, গলার স্বর বদলে যাওয়া, জ্বর, স্বাদ হারিয়ে ফেলা।
৩. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল : মাথাব্যথা, গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, স্বাদ হারিয়ে ফেলা, ডায়রিয়া, গলাব্যথা, বুকব্যথা, কফ থাকবে না।
৪. গুরুতর পর্যায় (প্রথম ধাপ), অবসাদ : মাথাব্যথা, গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, কফ, জ্বর, গলার স্বর বদলে যাওয়া, বুকব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা।
৫. গুরুতর পর্যায় (দ্বিতীয় ধাপ), অনিশ্চয়তা : মাথাব্যথা, স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে যাওয়া, কফ, জ্বর, গলার স্বর বদলে যাওয়া, গলাব্যথা, বুকব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা, পেশিতে ব্যথা।
৬. তীব্র পর্যায় (তৃতীয় ধাপ), তলপেট ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা : মাথাব্যথা, স্বাদ ও গন্ধ হারিয়ে ফেলা, কফ, জ্বর, গলার স্বর বদলে যাওয়া, গলাব্যথা, বুকব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা, অনিশ্চয়তা, পেশিতে ব্যথা, শ্বাস-প্রশ্বাস কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, তলপেটে ব্যথা।
Discussion about this post