অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত রয়েছে। যদিও দেশটির সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ এখনও চলমান এবং তৃতীয় ধাপ শুরু হয়নি।
ভ্যাকসিনটি উদ্ভাবনে গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রথম উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাসলাম সালিকভ এআইএফ দৈনিক পত্রিকাকে বলেন, সামরিক বিশেষজ্ঞ ও গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি ও মাইক্রোলজির বিজ্ঞানীরা তাদের চূড়ান্ত মূল্যায়ন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবকদের ছেড়ে দেওয়ার সময় সবাই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছেন। ফলে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে রাশিয়ার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন প্রস্তুত।
উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই দাবির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্যাকসিনের পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহকারী আলেক্সেই কুজনেটসভ জানান, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ শেষ হলে মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে।
ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার তহবিল সরবরাহ করছে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। সংস্থাটির প্রধান কিরিল ডিমিত্রিয়েভ বলেছেন, ৩ আগস্ট ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর অংশগ্রহণে শুরু হওয়া ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ শেষ হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতের পর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যালয় ক্রেমলিন জানিয়েছে, দেশটির বিজ্ঞানীরা প্রায় ৫০টি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট নিয়ে কাজ করছেন।
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়লেও এই রোগ নির্মূলে এখন পর্যন্ত কোনও কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করা যায়নি। বিশ্বজুড়ে দেড় শতাধিক গবেষণা চললেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মনে করছে, এই ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে শীর্ষে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট আস্ট্রাজেনেকার প্রকল্প। প্রথম ধাপে এই ভ্যাকসিনটি এক হাজার ৭৭ জনের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল সোমবার (২০ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে। ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এই ফলাফলে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মানব শরীরের জন্য ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়েছে।
Discussion about this post