নিউজ ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম জননেতা তাজউদ্দীন আহমদের ৯৫তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ১৯২৫ সালের এই দিনে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর থেকে এ দেশের ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সব আন্দোলনেই তাজউদ্দীন আহমদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াতলে থেকে সব আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রেখে নিজেকে ধীরে ধীরে জাতীয় নেতায় পরিণত করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে এক চরম সংকটময় মুহূর্তে অস্থ্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে সফল ভূমিকা পালন করেন তিনি। তার বীরোচিত ভূমিকাতেই মূলত মাত্র ৯ মাসের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। আদর্শ ও নীতিগত প্রশ্নে তিনি ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতা দখলকারী ঘাতক চক্র সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। সেদিন তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করা হয়। পরে তাকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে আটক অবস্থায় ঘাতক চক্র তাজউদ্দীনসহ আরও তিন জাতীয় নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে।
করোনা সংকটের কারণে এবার দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সীমিত কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচিতে রয়েছে- সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাজউদ্দীন আহমদের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও কবর জিয়ারত। তার জন্মস্থান কাপাসিয়ায়ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
Discussion about this post