বিশেষ প্রতিবেদক
আগামীকাল সোমবার (২৭ জুলাই) দুই দিনব্যাপী ‘ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ উৎসব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ১০০ জন ও বিশ্বের ১৫০ জন যুবক অংশগ্রহণ করবে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে।
কাতারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী ভাচুর্য়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দোহা থেকে ঢাকার কাছে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল কি (চাবি) হস্তান্তর করবেন। অনুষ্ঠানে ওআইসি মহাসচিব এবং ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও স্বাক্ষরকারী যোগ দিবেন।
‘রেসিলিয়েন্ট ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী উৎসবের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘প্যারিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি: ফর এ রেসিলিয়েন্ট ফিউচার।’ খবর: বাসস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক ভার্চুয়াল আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটি যুবকদের কাজের উৎকর্ষতা তুলে ধরে বাংলাদেশের ইতিবাচক ব্রান্ডিং উপস্থাপনের ও স্টেকহাল্ডারদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের একটি দারুণ সুযোগ করে দিবে।’
আমেল অউচেনামের সঞ্চালনায় এই ব্রিফিং প্রদানের সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং ওয়াইআইসিএফ সভাপতি তাহা আয়হান বক্তব্য রাখেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনকালে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ঢাকা ১০ জন যুবককে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড চালু করবে যারা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্য ও অবদান সম্পর্কে বিশ্বের যুবকদের আলোকিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ – যা ছিল মূলত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন- বিশ্বাস করে যে, সমৃদ্ধি কেবল কিছু সুউচ্চ বহুতল অট্টালিকার দ্বারা পরিমাপ করা যায় না এবং অবশ্যই করা উচিত নয়।’
এই ইয়ুথ সামিটে অংশগ্রহণের জন্য ৭৪টি দেশের এক হাজার ২০০ জনের বেশি যুবক আবেদন করেছিল। আয়োজক কমিটি এদের মধ্য থেকে ২৫০ জনকে বাছাই করেছে। এদের মধ্যে ১০০ জন বাংলাদেশী ও ১৫০ জন ওআইসিভুক্ত দেশ ও অন্যান্য দেশের। এই বাছাইকালে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লিঙ্গ সমতার ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে।
দেশ-বিদেশের বাছাইকৃত অংশগ্রহনকারীরা সোমবারের প্রথম অধিবেশনে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্টদের সাথে যোগ দিবেন। তারা মঙ্গলবার দ্বিতীয় অধিবেশনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতনের বিষয়ে বিচার ও জবাবদিহিতার মতো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে।
ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর), ইন্টারশ্যানাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় অংশগ্রহনকারী যুবকরা ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে’ ভার্চুয়াল সফর করবে। সম্মেলন শেষে স্বেচ্ছাসেবা ও মানবিকতার ভিত্তিতে যুবকদের জন্য আরো কর্মসূচির জন্য একটি দলিল গৃহীত হবে।
Discussion about this post