নিউজ ডেস্ক
দুই দিনব্যাপী ‘ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ উৎসব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৭ জুলাই) এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ১০০ জন ও বিশ্বের ১৫০ জন যুবক অংশগ্রহণ করবেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে।
কাতারের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী বিকেল ৪টায় অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দোহা থেকে ঢাকার কাছে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল কি (চাবি) হস্তান্তর করবেন।
অনুষ্ঠানে ওআইসি মহাসচিব এবং ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও স্বাক্ষরকারী যোগ দেবেন।
‘রেসিলিয়েন্ট ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘প্যারিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি : ফর এ রেসিলিয়েন্ট ফিউচার।’
এই ইয়ুথ সামিটে অংশগ্রহণের জন্য ৭৪টি দেশের এক হাজার ২০০ জনের বেশি যুবক আবেদন করেছিলেন। আয়োজক কমিটি এদের মধ্য থেকে ২৫০ জনকে বাছাই করেছে। এদের মধ্যে ১০০ জন বাংলাদেশি ও ১৫০ জন ওআইসিভুক্ত দেশ ও অন্যান্য দেশের।
এই বাছাইকালে নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী লিঙ্গ সমতার ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। দেশ-বিদেশের বাছাইকৃত অংশগ্রহণকারীরা সোমবারের প্রথম অধিবেশনে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্টদের সঙ্গে যোগ দেবেন।
তারা মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দ্বিতীয় অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে বিচার ও জবাবদিহিতার মতো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে।
ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজি (ইউএনএইচসিআর), ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় অংশগ্রহণকারী যুবকরা ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে’ ভার্চুয়াল সফর করবেন। সম্মেলন শেষে স্বেচ্ছাসেবা ও মানবিকতার ভিত্তিতে যুবকদের জন্য আরও কর্মসূচির জন্য একটি দলিল গৃহীত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটি যুবকদের কাজের উৎকর্ষতা তুলে ধরে বাংলাদেশের ইতিবাচক ব্রান্ডিং উপস্থাপনের ও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের একটি দারুণ সুযোগ করে দেবে।’
Discussion about this post