অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের তৃতীয় অর্থাৎ চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেকনোলজি কোম্পানি মডার্না ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের গবেষকরা। ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী তৃতীয় ধাপের এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে স্থানীয় সময় সোমবার সকালে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এ পরীক্ষায় অংশ নেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সাভান্নাহ শহরের এক বাসিন্দা। সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেবেন, তাঁদের মধ্যে অর্ধেক স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। আর অর্ধেককে দেওয়া হবে প্লাসেবো। যে কোনো ওষুধ বা টিকা পরীক্ষার সময় কার্যকারিতাহীন প্রতিলিপি অর্থাৎ, প্লাসেবো ব্যবহার করা হয়।
তবে কাদের শরীরে ভ্যাকসিন আর কাদের শরীরে প্লাসেবো প্রয়োগ করা হবে, তা গবেষক ও স্বেচ্ছাসেবীদের কেউই জানতে পারবেন না।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসের পরিচালন অ্যান্থনি ফৌসি বলেছেন, ‘আমরা ভ্যাকসিনোলজির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ইভেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছি।’
এর আগে ফৌসি অনুমান করে জানিয়েছিলেন, গবেষকরা নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের মধ্যে মডার্নার ভ্যাকসিন কার্যকর কি না, তা বলতে সক্ষম হবেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, এর আগেও ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা সম্পর্কে জানানো হতে পারে।
এর আগে ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় যে ৬০০ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অর্ধেকের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৫৫ এর মধ্যে। আর বাকিদের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।
এই ভ্যাকসিনটি দ্রুত গতিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দ্রুতগতি বা ‘ফাস্টট্র্যাক’ অনুমোদনের অর্থ হলো, টিকার অনুমোদনের প্রক্রিয়া সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা।
Discussion about this post