নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১০ থেকে বছরের শুরুতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পৌঁছে দিয়ে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই রচনা ও ছাপাইয়ে কাজ করে আসছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকটি বই এনসিটিবি কর্তৃক রচনা ও ছাপানোর কাজ করা হলেও শিক্ষার্থীদের বই কিনে নিতে হয়।
আগামী ৯ আগস্ট থেকে কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তির পর নতুন শ্রেণির জন্য বই কিনতে ধুম পড়বে। বাজারে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পুরাতন ও নতুন সংস্করণের উভয় বইয়ের সরবরাহ রয়েছে। তাই সতর্ক না থাকলে পুরাতন সংস্করণ বই কিনে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের। কারণ এ বছর এনসিটিবি কয়েকটি বইয়ের নতুন সংস্করণ বের করেছে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ‘সাহিত্য পাঠ’ (গদ্য ও কবিতা), ‘বাংলা সহপাঠ’ (উপন্যাস ও নাটক), ‘ইংলিশ ফর টুডে’ এ তিনটি বই এনসিটিবি নিজস্ব লেখক দিয়ে লিখিয়ে বিভিন্ন প্রকাশকদের মাধ্যমে ছাপিয়ে বাজারজাত করে আসছে। এ দুটি বইয়ে এবার সংশোধন আসছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকদের সুপারিশের পর এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বইটি নতুন করে সংযোগ করা হয়েছে। এই চারটি বই নতুনভাবে ছাপিয়ে বাজারজাত করেছে এনসিটিবি।
এনসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘কারোনার কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। জুনের পর পুরাতন বই বিক্রির সুযোগ দেওয়া হয় না। আমরা ২০১৯-২০২০ শিক্ষবর্ষের বই বিক্রির জন্য বর্ধিত সময় দিয়েছি। এই সময়ের পর পুরাতন বই বিক্রি করা হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
তাই শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ‘সাহিত্য পাঠ’ (গদ্য ও কবিতা), ‘বাংলা সহপাঠ’ (উপন্যাস ও নাটক) এবং ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ (আইসিটি) বিষয়ের বই কেনার ক্ষেত্রে সাবধান থাকা খুবই জরুরি। কারণ এ বই দুটিতে পরিমার্জন আসছে। এছাড়া এবারই প্রথম ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ (আইসিটি) বই বাজারজাত করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তুক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে পুরাতন বইয়ে অনেক বিষয় থাকবে না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা এক ধরনের প্রতারণা ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, ‘পুরাতন সংস্করণ বই বিক্রির জন্য সময় বাড়ানো হলো। আবার নতুন বই প্রকাশের জন্য টেন্ডারও করা হলো। বাংলা বই পরিমার্জন করা হচ্ছে। তাহলে এতদিনে যারা বই কিনেছে তাদের আবার বই কিনতে হবে। এটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা।’
তাই কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হতে পারেন। সাবধানতার সঙ্গে বই না কিনলে দ্বিতীয়বার বই কেনার প্রয়োজন হবে তাদের। সেক্ষেত্রে নতুন সংস্করণের বই কিনে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
এদিকে সব সরকারি-বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আগামী ৯ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সব প্রক্রিয় শেষ করে আগামী ১৩ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
Discussion about this post