আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মডার্না বায়োটেক, ফাইজার, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার মতোই করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তিনটি পর্যায়ে এগিয়ে চীনের প্রথম সারির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিনোফার্ম। সম্প্রতি সৌদি আরবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে কোম্পানিটি। প্রথম দুই পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিনটি কেমন কাজ করেছে, সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীনা কোম্পানিটি। এতে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এ শুক্রবার (১৪ আগস্ট) এই গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। চীনের ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট দাবি করেছে, এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে নিরাপদ ও সুরক্ষিত। তৃতীয় পর্যায়ে সৌদি আরবে কয়েক হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
সিনোফার্ম জানিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৯৬ জনকে অল্প ডোজের ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২২৪ জনকে দেওয়া হয়। ওই পর্যায়ের ডোজের পরিমাণ সামান্য বাড়ানো হয়। এতদিন পর্যবেক্ষণে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। তাদের প্রত্যেকের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেখা গেছে, ভ্যাকসিনের ডোজে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
কোভিড ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে মার্কিন ফার্মা জায়ান্ট মডার্না বায়োটেকনোলজি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের তত্ত্ববধানে ৩৬ হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার বৃহত্তর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
পিছিয়ে নেই আমেরিকার আরেকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। জার্মান ফার্ম বায়োএনটেকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারাও মডার্নার মতোই আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) টেকনোলজিতে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে সাফল্যও মিলেছে। এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হল করেছে ফাইজার। বিশ্বজুড়ে ১২০টি ক্লিনিকে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯টি জায়গা ছাড়াও আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানিতেও শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
Discussion about this post