অনলাইন ডেস্ক
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। নারকীয় এ হামলায় প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও আহত হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী।
https://admanager.somoydigital.com/www/delivery/afr.php?zoneid=35&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE২১ আগস্ট ২০০৪। সময়টা তখন বিকেল ৫টা ২২ মিনিট। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বক্তব্য তখন শেষ পর্যায়ে। হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে উঠে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। মাত্র দেড় মিনিটে পরপর বিস্ফোরিত হয় ১১টি গ্রেনেড। পুরো সমাবেশ স্থল জুড়ে তখন গগনবিদারী চিৎকার, ভয়, আতঙ্ক, আর্তনাদ।
শান্তির সমাবেশকে ঘিরে কোলাহলপূর্ণ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল বীভৎস মৃত্যুপুরীতে। গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। রক্ত-ঝড়ের প্রচণ্ডতায় মলিন হয়ে গিয়েছিল পুরো দেশ।
হিংস্র শ্বাপদের ভয়াল ছোবল থেকে দলীয় প্রধানকে বাঁচাতে মানবঢাল তৈরি করেন নেতাকর্মীরা। ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা বেঁচে ফিরলেও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন নেতা-কর্মী। আহত হন পাঁচ শতাধিক। আহত হওয়া পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর অনেকেই ঘাতক গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে এখনো বেঁচে আছেন।
মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের সেই ভয়ঙ্কর-বিভীষিকাময় রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। তবে আগস্টের একুশেই শুধু নয়, বিভিন্ন সময় হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯ বার হামলা চালানো হয় জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার ওপর।
Discussion about this post