অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শিশুদের মাস্ক ব্যবহার নিয়ে নতুন পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত শুক্রবার সংস্থাটি বলেছে, করোনা প্রতিরোধে যেসব পরিস্থিতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেসব পরিস্থিতিতে ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদেরও মাস্ক পরা উচিত। বিশেষ করে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে এবং অন্যদের সঙ্গে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় এমন সব স্থানে প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মাস্ক পরতে হবে শিশুদের।
গত শুক্রবার ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় এ পরামর্শ দেয় ডাব্লিউএইচও।
করোনা ছড়ানোর ক্ষেত্রে শিশুদের ভূমিকা এবং তাদের মাস্ক পরার উপকারিতা কতটুকু সে বিষয়ে জানতে সংস্থা দুটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি দল তৈরি করেছিল। ওই বিশেষজ্ঞদল শিশুদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যে তথ্য পেয়েছে তার ভিত্তিতেই নতুন এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিশুরা করোনা কতটা ছড়াতে পারে সে সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। তবে একেবারে ছোট শিশুরা যতটা করোনা ছড়াতে সক্ষম, তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে টিনএজাররা ভাইরাসটি ছড়াতে তার চেয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। সংস্থা দুটি আরো বলেছে, পাঁচ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরার কোনো প্রয়োজন নেই। ছয় থেকে ১১ বছরের শিশুদের বিশেষ পরিস্থিতিতে মাস্ক পরতে হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে একজন প্রাপ্তবয়স্ককে শিশুদের ওপর নজর রাখতে হবে, যাতে তারা নিরাপদভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়া মাস্ক পরার কারণে স্বাস্থ্যগত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন শিশুদের বয়স যেমনই হোক না কেন তাদের মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা উচিত নয়। খেলা বা অন্যান্য শারীরিক পরিশ্রম করার সময়ও কোনো শিশুর মাস্ক ব্যবহার করতে বলার দরকার নেই। কারণ এটি তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সূত্র : এএফপি।
Discussion about this post