নিউজ ডেস্ক
সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য -‘কোভিড-১৯ সংকট: সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’ চলমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। রুপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণসহ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম মানবসম্পদে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ লক্ষ্যে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, প্রশিক্ষণ প্রদান, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, শতভাগ উপবৃত্তি বিতরণ, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক মহামারিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যে কোমলমতি শিশুদের জন্য একযোগে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও সকল কমিউনিটি রেডিওতে ‘ঘরে বসে শিখি’ শিখন প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে চলমান সাক্ষরতা কর্মসূচি একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। তিনি ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২০’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
Discussion about this post