নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর এ আদেশ দেন।
২৫ আসামির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হলো। আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের বিষয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও গ্রেফতার ২২ আসামির শুনানি শেষ হয়েছে। ওই দিন আদালত অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।’
এদিন আসামিদেরও আদালতে আনা হয়েছিল। পরে তাদের সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
পরে মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১৩ নভেম্বর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও এর বাইরের আরও ছয় জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন ও এজাহারের বাইরের ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আছেন তিন জন। অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এছাড়া ২১টি আলামত ও আটটি জব্দতালিকা জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ি থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় বাদী হয়ে ১৯ জনের নামে হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন আবরার। থাকতেন শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।
Discussion about this post