শাহ আহমেদ শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৃথক শোক বার্তায় তারা সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে তাকে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
শতবর্ষী আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে এর আগেও দফায় দফায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চমেক হাসপাতালের এক চিকিৎসক সকালে সাংবাদিকদের বলেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার অক্সিজেন ও হার্টে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। একই সাথে ফুসফুসে পানি জমেছিল। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
১০৪ বছর বয়সে আহমদ শফীর শরীরে বাসা বেঁধেছিল নানা রোগ। ডায়াবেটিকস,উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ফলে প্রায় ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। গত কয়েক মাসে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিলে একাধিক বার চট্টগ্রাম ও ঢাকার হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
Discussion about this post