নিউজ ডেস্ক
নতুন ‘ডিজিটাল গভর্ন্যান্স আইন-২০২০’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এটি প্রণীত হলে সরকারি চাকরির ধরন বদলে যাবে। চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতার শর্তের ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতার বিষয়টি যুক্ত হবে। এছাড়া কর্মস্থলের বাইরে অবস্থান করেও ফাইলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন কর্মকর্তারা। এতে হয়রানি কমার পাশাপাশি মানুষের সেবাপ্রাপ্তি সহজ হবে, ব্যয়ও কমবে।
এই আইনের খসড়া শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উঠবে বলে জানা গেছে। খসড়ার ৩৭ ধারায় বলা হয়েছে, আইনটি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর অসদাচরণ বলে গণ্য হবে। তবে ‘তথ্য অধিকার আইন’র সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তথ্য অধিকার আইন প্রাধান্য পাবে। অন্য ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে ‘ডিজিটাল গভর্ন্যান্স আইন’।
খসড়ায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অর্থ এমন পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস বা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি কার্যক্রম সঠিক ও সুচারুরূপে সম্পাদন করা যাবে এবং জনগণের নিকট দ্রুত সেবা পৌঁছানো যায়। আইনটির উদ্দেশ্য পূরণে সরকার ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলবে।
তবে প্রস্তাবিত আইনটিতে অনেক বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি। ৪০টি ধারাসংবলিত আইনটির পৃথক বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে ব্যাখ্যা যুক্ত করা হবে। বাস্তবায়নের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কোনো বিষয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
তবে আইনটি বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল প্রাপ্তি। সেবাপ্রার্থীদেরও বড় অংশ প্রযুক্তিগত সেবা সম্পর্কে জানে না কিংবা জ্ঞান সীমিত।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। সেবাদাতা ও গ্রহীতার জন্য এটাই সত্য। তবে এসব কথা চিন্তা করে উদ্যোগ বন্ধ রাখা যাবে না। কাজ শুরু হলে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (আইন ও বিধি) শফিউল আজিম এ আইনের বিষয়ে বলেন, খসড়াটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এটি পাস হলে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে বড় ভূমিকা রাখবে।
Discussion about this post